পানি এবং পারদের কৈশিক ক্রিয়ার মধ্যে তুলনা, দু'ক্ষেত্রেই একটি পোলার তলের সাপেক্ষে বিবেচনা করা হয়েছে (যেমন, কাঁচ) 

কৈশিক ক্রিয়া বা ক্যাপিলারি অ্যাকশন (একে ক্যাপিলারিটি, ক্যাপিলারি মোশন বা উইকিংও বলা হয়) হলো কোনো তরলকে সংকীর্ণ পথে প্রবাহিত করার ক্ষমতা। এই ঘটনার সময় কোনো বল সেখানে কাজ করে না; এমনকী মধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো বহিস্থ: কোনো শক্তিও নয়।  রঙতুলিতে তরল উঠিয়ে আনার সময় এমনটা দেখা যায়। পাতলা টিউব বা ঝাঁঝরসদৃশ সুক্ষ্ণ বস্তু (যেমন কাগজ অথবা প্লাস্টার) এবং কিছু ঝাঁঝরবিহীন বস্তুতেও (যেমন: বালি) এই ঘটনা ঘটে থাকে। তরল এবং ঘিরে থাকা কঠিন তলের মধ্যকার আন্ত:আণবিক বলের কারণে এটা ঘটে। নলের ব্যাস যথেষ্ট ক্ষুদ্র হলে তরল আর পাত্রের দেওয়ালের পৃষ্ঠটান এবং সংযুক্তি বলের সমন্বয়ে তরল ওপরে উঠে আসার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়।

কৈশিক ক্রিয়ার পদার্থবিজ্ঞান-ভিত্তিক ব্যাখ্যা

কৈশিক প্রবাহ পরীক্ষণ: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ক্যাপিলারি প্রবাহ এবং তার  ফলাফল লক্ষ্য করতে এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিলো 

প্রথমবারের মতো এই ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করতে যে সাধারণ যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিলো তার নাম ক্যাপিলারি টিউব। উল্লম্ব এক কাচের নলের নিচের অংশ জলের মধ্যে রাখা হয়েছিলো, অবতল এক উপরিতল সৃষ্টি হয়েছিলো ওপরে। তরলের সঙ্গে পাত্রের দেওয়ালে সংযুক্তি বল কাজ করে তবে তরলের যথেষ্ট ভর থাকলে মধ্যাকর্ষণ বল আন্ত:আণবিক বলকে অতিক্রম করতে পারে। কিনারায় স্পর্শ করে থাকা স্পর্শতলের দৈর্ঘ্য কাচনলের ব্যাসার্ধের বর্গের সমানুপাতিক। কাজেই বৃহত্তম ব্যাসার্ধের চেয়ে ক্ষুদ্রতম ব্যাসার্ধের সরু নল তরলকে অধিক উচ্চতায় তুলতে সক্ষম হয়।

উদ্ভিদজগত ও গাছপালায়

গাছপালায় কৈশিক ক্রিয়া উর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় ঘটে। তবে পাতায় এটা হয় ডিপ্রেশারাইজেশন এবং মূলসহ গাছের অন্যান্য অঙ্গের অসমোটিক প্রেশারের কারণে।


এই নিবন্ধ উইকিপিডিয়া নিবন্ধটি থেকে উপাদান ব্যবহার করে কৈশিক ক্রিয়া, যা Creative Commons Attribution-Share-Alike License 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত হয়।